“বড় ক্রিকেটার হওয়ার সমস্ত মশলা মজুত আছে এই ছেলেটার মধ্যে”- সুনীল গাভাস্কার থেকে শচীন তেন্ডুলকর, ভি ভি এস লক্ষ্মণ থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, প্রায় সকলেই ২১ বছরের ছেলেটাকে নিয়ে এই একটাই কথা বলছেন। শুধুই কি বড় ক্রিকেটার হওয়া! ওঁর দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়েরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। যা গতকাল শেষ হওয়া ব্রিসবেন টেস্টের পর আরও বেড়েছে। ক্রিকেট পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই আলোচনা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
গত ৮ জানুয়ারি গিল পরিবারের কাছে সবচেয়ে সুখের দিন হতেই পারত। সিডনি টেস্টে একমাত্র ছেলে শুভমন প্রথম অর্ধ-শতরান করলেও ৫১-তে থমকে যান। তাই ওঁর বাবা-মা লখবিন্দর সিংহ ও কীর্ত কৌর সেদিন খুশি হলেও উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। তবে এবার ওঁরা গর্বিত। ছেলে শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরে এলেও ওঁরা গর্বিত। কারণ, ওঁদের ছেলের জন্যই তো ব্রিসবেন টেস্টে জয়ের ভিত তৈরি হয়েছিল গতকাল সকালে।
৩২৮ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই ফিরে যান রোহিত শর্মা। তবে দমে যাননি তরুণ এই পাঞ্জাব তনয়। চেতেশ্বর পূজারা বিপক্ষ পেসারদের গোলাগুলি হজম করে একদিক আগলে রাখেন। অন্য প্রান্ত থেকে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করে দেন শুভমন। ধীরে ধীরে গড়তে শুরু করে ৩২ বছর পর ঐতিহাসিক ব্রিসবেন টেস্ট ও সিরিজ জয়ের ইমারত। তাই ২১১ বলে ৯১ রানে থামলেও শুভমনের বাবা লখবিন্দর সিংহ গিল খুশি।
মোহালি থেকে তিনি বললেন, ‘‘সিডনি টেস্টে শুভমন প্রথমবার অর্ধ শতরান করলেও আমরা পুরোপুরি খুশি ছিলাম না। ও কত বড় মাপের ব্যাটসম্যান সেটা জানতাম। দলের স্বার্থে ধৈর্য্য ধরে ওর আরও লম্বা ইনিংস খেলা উচিত ছিল। তবে এবার শতরান না করলেও বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে এমন দাপুটে ব্যাটিং করতে হলে কলজে লাগে। সেটা ও দেখিয়ে দিল।’’ মেলবোর্ন বক্সিং-ডে টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েই নজর কেড়েছিলেন, যা সিডনি থেকে ব্রিসবেন পর্যন্ত বজায় রয়েছে। মাত্র ৩টে টেস্টে ৫১.৮০ গড় নিয়ে ইতিমধ্যেই ২৫৯ রান করে ফেলেছেন। সঙ্গে রয়েছে ২টি অর্ধ শতরান। এই রানগুলোয় একাধিক দৃষ্টিনন্দন ব্যাকফুট পাঞ্চ ও ফরোয়ার্ড ডিফেন্সের মিশেল রয়েছে। স্বভাবতই ছেলের এমন ব্যাটিংয়ে আপ্লুত লখবিন্দর।