ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে শিখরে পৌঁছোনো পেট্রোল ও ডিজেলের দামের ঠেলায় ইতিমধ্যেই জর্জরিত দেশবাসী। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এই দুই জ্বালানি ইতিমধ্যে নতুন রেকর্ড স্পর্শ করছে। স্বাভাবিকভাবে আরও দাম বাড়ল কি না, সেই চিন্তায় তটস্থ সাধারণ মানুষ। কারণ জ্বালানির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার প্রভাব পড়ে জিনিসপত্রের উপরে। এখনই জ্বালানি খরচের দোহাই দিয়ে কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারি রুটে বেআইনিভাবে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বাসের ভাড়া আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিত্যযাত্রীরা।
যদিও দায় এড়াতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা ও জোগানের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। গতকাল তিনি বলেন, যে সমস্ত দেশ তেল উৎপাদন করে কোভিডের কারণে তারা উৎপাদন কাটছাঁট করেছে। ফলে চাহিদা অনুসারে জোগান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ছে। এদিকে, ভারতে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভর হওয়ায় এই দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারের দর ও টাকার ওঠা-নামার নিরিখে দৈনিক ভিত্তিতে ভারতের খুচরো বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থির করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। বুধবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। কলকাতা-সহ দেশের প্রধান চার মেট্রো শহরেই দাম অপরিবর্তিত আছে।