ভোটযুদ্ধ শুরু হতে আর কিছুদিন বাকি। তবে শাসকদল-বিরোধী শিবিরের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। যা নিয়ে রীতিমতো সরগরম রাজনৈতিক মহল। সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ফের বাক্যবাণে বিঁধলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খুব তাড়াতাড়িই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে, এমনই ভবিষ্যৎদ্বাণী করলেন ফিরহাদ।
মঙ্গলবার মালদায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু প্রসঙ্গে ফিরহা বলেন, “কালিদাস হয়ে যে ডালে বসেছে,সেই ডালই কেটে ফেলেছে। আগামী দিনে শুভেন্দুকে রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে।” শুভেন্দু -বিজেপির যোগ নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “২০১৪ সাল থেকে দলে থেকেও শুভেন্দু অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এটা দ্বিচারিতা।” তাঁর কথায়, “আমিও কয়েকবার নরেন্দ্র মোদীকে রিসিভ করতে গিয়েছি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলিনি। অনেক বিজেপি নেতার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক আছে।”
বিশেষ উল্লেখ্য, গত ২০শে ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশির-পুত্র কার্যত স্বীকার করেই নিয়েছিলেন, ২০১৪-১৫ সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। বলেছিলেন, “অমিত শাহজীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কতদিনের ? তিনি তখন পার্টির মহামন্ত্রী, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলকে জিতিয়েছেন।” তাঁর কথায়, “অশোক রোডের পুরনো পার্টি অফিসে একটা ছোট্ট ঘরে অমিতজী আমাকে দর্শন দিয়েছিলেন। আর সেই দর্শনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এমন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহল।