দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার গণটিকাকরণ। এদিন পূর্ণ হল এই অভিযানের তৃতীয় দিন। পুরো দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সাথেই ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ।টিকা নেওয়ার পর। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যদিও এর সঙ্গে ভ্যাকসিন গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। তবে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যেই।
উল্লেখ্য, কোভিডের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যাঁদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। এই টিকা নেওয়ার পর প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে টিকা নেওয়ার সঙ্গে তাঁদের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। মৃতের একজন উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে ৪৬ বছরের মোহিপাল সিংহ। সেখানকার এক সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ছিলেন তিনি। টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও যোগ নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, হার্টের সমস্যার কারণেই প্রাণ হারান তিনি। পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়ার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন মোহিপাল।
আরেকজন হলেন কর্ণাটকের বরালির ৪৩ বছরের ব্যক্তি। কেন্দ্র জানায়, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক-পালমোনারি ফেলিওর। যদিও তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজন দিল্লীর। যদিও ইতিমধ্যেই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি কর্ণাটকের দু’জন, উত্তরাখণ্ডের একজন এবং ছত্তিশগড়ের একজন। তবে টিকা নেওয়ার কারণেই কেউ অসুস্থ হয়েছেন, এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দেশে মোট ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৩০৫ জন কোভিডযোদ্ধা টিকা পেলেন। যাঁদের মধ্যে সোমবার দেওয়া হয় মোট ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৬৬ জনকে। এদিকে সোমবার ভ্যাকসিনেশনের পর রাজ্যে ১৪ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ জন।