২৩ জানুয়ারি অর্থাৎ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনকে গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে পরাক্রমদিবস ঘোষণা করল কেন্দ্র। রাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই নেতাজির জন্মদিনে ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। সেই ছুটি আবেদন মঞ্জুর না হলেও নেতাজির জন্মদিনটির বিশেষ গুরুত্ব অস্বীকার করছে না কেন্দ্র, তা বোঝাতেই এই ঘোষণা।
কেন্দ্রের এই নতুন ঘোষণা মানতে নারাজ ফরোয়ার্ড ব্লক। তাদের দাবি ২৩ জানুয়ারি দেশপ্রেম দিবস ঘোষণা করতে হবে। নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও মনে করছেন, নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবেই দেখতে চাইছেন তাঁরা। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, ভোটবাজারে বাংলার মনে দাগ কাটতে অনেকটা বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের মত নেতাজির ওপরেও ভরসা রাখতে চাইছে মোদী সরকার। ২৩ জানুয়ারি রাজ্যেও আসছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই একুশের লক্ষ্যেই মোদী সরকারের এই ঘোষণা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল দেশপ্রেম দিবস ঘোষণা করা হোক। সেই দাবি মেনে নেয়নি কেন্দ্র।’
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘এখানে একটা ছায়াযুদ্ধের ব্যাপার রয়েছে। যেন সবসময়ে কারও না কারও সঙ্গে লড়াই করছে কেন্দ্র। এই নামকরণের পিছনে যে ভাবনা আছে, এটা সমালোচনাযোগ্য।’
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই নেতাজির জন্মদিনকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেজাজির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মনুমেন্ট-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে কেন্দ্রও নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির মাথায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কমিটিতে বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য,সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়দেরও রাখা হয়েছে।