মরণ-বাঁচন ম্যাচে বাজিমাত করতে পারল না বঙ্গব্রিগেড। সোমবার ইডেন গার্ডেন্সে তামিলনাড়ুর কাছে ৮ উইকেটে হেরে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিলেন অনুষ্টুপ-মনোজ-ঈশানরা। তৃতীয় উইকেটে দীনেশ কার্তিক ও এন জগদীশনের ১১০ রানের লম্বা পার্টনারশিপে ভর করে সহজেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় তামিলনাড়ু।
উল্লেখ্য, গত মরসুম ঠিক একইরকম ভাবে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলা। এবারও তার বিষণ্ণ পুনরাবৃত্তি। যদিও জয়ের হ্যাটট্রিক করে ট্রফি জয়ের দাবিদার হয়ে উঠছিল অনুষ্টুপ মজুমদারের দল। গত ম্যাচে অসমের বিরুদ্ধে ১৩ রানে হেরে চাপে পড়ে যায় বাংলা। যদিও অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তামিলনাড়ু ম্যাচ নিয়ে। কিন্তু সেই সাহস ফুটে উঠল কই ? লজ্জাজনক হারের সাক্ষী থাকল বঙ্গক্রিকেট। ফের কাঠগড়ায় ব্যাটিং ব্যর্থতা। যার জেরেই ঘরের মাঠে পরাজয় হজম করতে হল বাংলাকে।
প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছিল। ওপেনাররা ভালভাবে শুরু করলেও প্রকট হয়ে উঠছিল মিডল-অর্ডার সমস্যা। নড়বড়ে মিডল-অর্ডারই কাল হয়ে দাঁড়াল বাংলার। দলের সবচেয়ে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি চূড়ান্ত ব্যর্থ এই টুর্নামেন্টে। একেবারেই দাগ কাটতে পারলেন না তিনি। প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রাপ্ত রান যথাক্রমে ১২, ১৬, ৩৩ ও ৭। কেবল ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ আসেনি মনোজের। এদিনও দলকে সাহায্য করতে পারলেন না তিনি। মাত্র ৭ রান করে মুরুগান অশ্বিনকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে দলকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁর স্টাম্প ছিটকে দেন দীনেশ কার্তিক। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে বাংলা।
৪৭ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত রইলেন তরুণ ব্যাটসম্যান কাইফ আহমেদ। অধিনায়ক অনুষ্টুপের ব্যাট থেকে এল ৩৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের ৫৬ রানের পার্টনারশিপের কল্যাণেই ৮ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে বাংলা। বাকিদের স্কোর উল্লেখযোগ্য নয় একদমই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসে ২ উইকেটে ১৬৭ রান তুলে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তামিলনাড়ু। ৪৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিত রইলেন এন জগদীশন। প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক কার্তিকের ব্যাট থেকে এল অপরাজিত ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে ১১০ রান যোগ করে বাংলাকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দিলেন তাঁরা।