সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে নবরূপে সেজে উঠছে ‘রাম জন্মভূমি’ অযোধ্যা। তবে এবারে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে। আগামী ২৬ জানুয়ারি চারাগাছ রোপণ এবং ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে হবে বহু প্রতীক্ষিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। শনিবার সেই অনুষ্ঠানের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)।
করোনা পরিস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এ বার প্রস্তাবিত মসজিদ তৈরি সময়ের অপেক্ষা। কারণ ইতিমধ্যেই সৌরশক্তিচালিত মসজিদের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ হাতে পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৫ একর জায়গার ওপর মসজিদের পাশাপাশি তৈরি হবে ৩০০ শয্যার মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। সেই হাসপাতালের নকশাও তুলে ধরা হয়েছে নকশায়। মসজিদ চত্বরে থাকবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। পাঁচ একর জমিতে কমিউনিটি কিচেন এবং গ্রন্থাগার, মিউজিয়াম, ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল রিসার্চ সেন্টার, প্রকাশনা সংস্থা তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড মাটি পরীক্ষা শুরু করেছে।
অযোধ্যার রামমন্দির থেকে মসজিদের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। সেখানেই অত্যাধুনিক এই মসজিদ নির্মিত হবে। ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮:৩০ মিনিটে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপিত হবে। রবিবার মসজিদের ৯ ট্রাস্টি বোর্ড মিলে একটি বৈঠক করে। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেওয়া অর্থের ক্ষেত্রে আয়কর দফতরের ছাড়পত্র পাওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন তাঁদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের স্বার্থে নানা প্রকল্পের কথা বলা রয়েছে। তাই মানুষের স্বার্থেই গাছ লাগানো। এতে সমাজ পরিবেশ বাঁচানর প্রতি আরও দায়বদ্ধ হবে। পাশাপাশি, বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়ে বার্তা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে, যাতে সকলেই সচেতন হন। পরিবেশের বিষয়ে সকলেই যত্নশীল হন।