ছ’দিনের মধ্যে দু-দুবার নৃশংস শারীরিক অত্যাচারের শিকার এক কিশোরী। প্রথমে ১৩ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে সাতজন। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে ফের তিন অভিযুক্ত নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায়। সেখান থেকে পালিয়ে আসার সময় দুই ট্রাক ড্রাইভারের খপ্পরে পড়ে সে। তারাও তাকে ধর্ষণ করে। শেষে বরাতজোড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় মেয়েটি। মধ্যপ্রদেশের এই পাশবিক ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা।
৪ জানুয়ারি ১৩ বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় তারই এক পরিচিত যুবক। এরপর সেই যুবক ও তার ছয় বন্ধু মিলে পাশবিক অত্যাচার চালায় মেয়েটির উপর। ৫ জানুয়ারি তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। কিন্তু শারীরিক অত্যাচারের কথা কাউকে জানালে খুনের হুমকিও দিয়ে রাখে তারা। ফলে সেসময় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এরপর ১১ জানুয়ারি তিন অভিযুক্ত তাকে ফের তুলে নিয়ে যায় তাকে। জঙ্গলে ও রাস্তার ধারের ধাবায় তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালায়। সেখান থেকে পালিয়ে আসার সময় দুই ট্রাক ড্রাইভার মেয়েটির উপর চড়াও হয়। তারাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে বাড়ি এসে পৌঁছয় মেয়েটি। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পসকো ধারায় মামলা করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই ট্রাক ড্রাইভার ও মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। উল্লেখ্য, গত ৬ দিনে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ ধরনের চারটি ঘটনা সামনে এসেছে। যার জেরে প্রশ্নের মুখে বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা।