বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন কলকাতায় এসে পৌঁছেছে মঙ্গলবার। আর তারপরে এই ভ্যাকসিন গোটা রাজ্যের সব জেলায় দ্রুত বন্টনের প্রক্রিয়াও শেষের মুখে। রাজ্যের ২৩টি জেলা-সহ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী ২৮টি স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা বাদ দিয়ে সব জায়গাতেই টিকা সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা দেশজুড়ে এই করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। আর তার আগে এ রাজ্যেও স্বাস্থ্য দফতরে সাজো সাজো রব।
আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার এই টিকা কর্মসূচির প্রথম দিন বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত কোনও কেন্দ্র হচ্ছে না। ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যান্য জেলার বেসরকারি হাসপাতালেও এই টিকা কেন্দ্র করা হবে। যেমন শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, বিষ্ণুপুর। এ দিন বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরি হাসপাতালের সিইও রুপক বড়ুয়া জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই প্রস্তাবকে স্বাগত। সারা বিশ্বের মতো আমরাও চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনার টিকা করণের কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত।
গোটা রাজ্যে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এই নভেল করোনা ভাইরাসের টিকাকরন যেমন হবে, তেমনভাবেই রাজ্যের বড়,কর্পোরেট হাসপাতালগুলিও যেন এই করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় অংশ নেয়, তার জন্য মঙ্গলবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন কর্পোরেট হাসপাতালগুলিকে সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠকে ডাকে। বুধবার সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে এই বৈঠক হয়। কলকাতার ২৪টি বড়, কর্পোরেট হাসপাতাল অংশ নেয় সেখানে।বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রস্তাব দেওয়া হয় –
বেসরকারি হাসপাতালগুলো নিজেদের কর্মীদের করোনা টিকাকরন করবে।
*প্রয়োজনে আশপাশের এলাকা থেকেও স্বাস্থ্য দফতরের নথিভূক্ত টিকা গ্রহণকারীদের পাঠানো হবে সেই বেসরকারি হাসপাতালে।
*স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী টিকা করণের সমস্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
*কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর-র অংশ হিসাবে টিকার খরচ বাদ দিয়ে এই টিকা কর্মসূচির অন্যান্য খরচ সেই বেসরকারি হাসপতালগুলিকেই বহন করতে হবে।