‘কেন্দ্রের আনা কৃষি বিল কৃষকবিরোধী, মানুষবিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন। ঠিক তাঁর উল্টো মেরুতে ভারত সরকার। সরকারের বদঅভ্যাস হয়ে গিয়েছে অধ্যাদেশ জারি করা।’ বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কৃষি আইনগুলিতে কোথায় কোথায় অসুবিধা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন তিনি। কেন্দ্রের সমালোচনা করে কাকলি বলেন, ‘সিঙ্ঘু সীমান্তে আটকে রয়েছেন কৃষকেরা। কৃষক আইন কৃষকবিরোধী, মানুষবিরোধী। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখে বলব, কৃষকের স্বার্থেই কৃষক পরিবারের স্বার্থেই এই আইন ভারত সরকারের উচিত প্রত্যাহার করে নেওয়া। এগুলো জনসাধারণ বিরোধী।’
তিনি বলেন, ‘একটি আইনে বলা হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যেমন চাল,ডাল সেগুলি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলি ধনী, মধ্যবিত্ত, গরিব সকলের লাগে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘এই আইনের ফলে মজুতদারদের হাত শক্ত করা হয়েছে। কৃষকদের ১০-১২ টাকা কিলো দরে আলু হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। তারপর সেগুলো ৮০ টাকা কিলো দামে উপস্থিত হল! তাতে কিন্তু বর্তমানে জনসাধারণের খুব অসুবিধা হয়েছিল। কিভাবে জনবিরোধী কোনও বিল কেন্দ্রীয় সরকার আনতে পারে, আমরা তো ভাবতেও পারি না।’
কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেছে মোদী সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।’ কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের বদঅভ্যাস হয়ে গিয়েছে অধ্যাদেশ জারি করা। সংসদীয় রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে, সাংসদদের এড়িয়ে এ কাজ করে তারা। হয়তো দিন পনেরোর মধ্যে সংসদের অধিবেশন বসবে। কিন্তু তারা অপেক্ষা না-করে অধ্যাদেশ জারি করে। এই সরকার অগণতান্ত্রিক সরকার। এই সরকার কৃষিবিরোধী সরকার। কাজেই এই ধরনের এই সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের আশা করতেই পারি।’