ডেভিড উইলিয়ামস ও ব্র্যাড ইনম্যান- দলের এই দুই বিদেশি খেলোয়াড়কে নিয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সূত্রের খবর, জানুয়ারি উইন্ডোতেই এঁদের দুজনকে ছেড়ে দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইতিমধ্যেই উইলিয়ামসের পরিবর্ত হিসেবে কেরালার ব্লাস্টার্সের ফাকুণ্ডো পেরেরাকে অফারও নাকি দেওয়া হয়েছে।
গতবার রয় কৃষ্ণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোল করছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস। সাতটা গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ১৮টা ম্যাচ খেলেছিলেন। এবার সেই ডেভিডকেই খেলানোর ভরসা পাচ্ছেন না হাবাস। এখনও পর্যন্ত দশটা ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন পাঁচটা। অথচ গোল করেছেন মাত্র একটা। তার উপর খেলাতেও কোনও দাগ কাটতে পারছেন না। সব মিলিয়ে ডেভিড উইলিয়ামসের উপর আদৌ খুশি নয় সবুজ-মেরুন শিবির। তাই হয়তো এবার তাঁর পরিবর্ত খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে ইনম্যানকে নিয়েও হতাশ সবুজ মেরুন শিবির। অনেক আশা নিয়ে তাঁকে আনা হয়েছিল। গতবছর তিনি অস্ট্রেলিয়ান লিগে ব্রিসবেন রোয়ারের হয়ে সাড়া জাগানো পারফরম্যান্সও করেছিলেন। ছিলেন বর্তমান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলারের অধীনে। চার গোলও করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর ফর্ম দেখে হাবাস তাঁকে আনার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। অথচ সেই ব্র্যাড ইনম্যান সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চুড়ান্ত ব্যর্থ। এখনও পর্যন্ত না পেরেছেন গোল করতে, না পেরেছেন ভাল কোনও মুহূর্ত তুলে ধরতে।
অথচ সুযোগ যে পাননি, তা নয়। স্বয়ং স্প্যানিশ কোচ তাঁকে দশটা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটায় সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এমন খেলা খেলেছেন যে, তাঁকে ৯০ মিনিট খেলানোর ভরসা পাননি। তাই ইনম্যানকে নিয়েও এটিকে মোহনবাগান শিবিরে হতাশা বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে এটিকে মোহনবাগানের এক কর্তা বলছিলেন, “ডেভিড ও ব্র্যাড আমাদের চূড়ান্ত হতাশ করল। বিশেষ করে ব্র্যাড। দু’জনকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।”