পিলকিংটন না থাকায় বর্তমানে লাল-হলুদ মাঝমাঠের প্রধান স্তম্ভ তিনিই। যেমন আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তেমনই সমান দক্ষতায় রক্ষণ সামলাচ্ছেন। আবার পরপর গোল করে দলকেও জেতাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিন গোল করে ফেলেছেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সি ইস্টবেঙ্গল তারকা মাত্তি স্টেইনম্যান। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে আগামী শুক্রবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স।
সেই ম্যাচেরই প্রস্তুতির ফাঁকেই গোয়া থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ ভাগ করে নিলেন আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলার অভিজ্ঞতা। বললেন, দারুণ লাগছে। গত মরসুমে গোল করার সুযোগ খুব কম পেয়েছিলাম। কারণ, আমাকে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বিপক্ষের আক্রমণ থামাতেই। এসসি ইস্টবেঙ্গলে কিছুটা উপরের দিকে খেলছি। তাই গোল করার সুযোগও বেশি পাচ্ছি। তবে নিজে গোল করার চেয়েও আমি বেশি আনন্দ পেয়েছি দলকে সাহায্য করতে পেরে।
প্রথম ৪-৫টি ম্যাচের পর থেকেই ইস্টবেঙ্গল দল ক্রমশ উন্নতি করেছে খেলায়। ইতিমধ্যেই ১০টি গোল করে ফেলেছে তাঁরা। হঠাৎই এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর রসায়ন কী? মাত্তি বলেছেন, এক দিনে কখনও সাফল্য পাওয়া যায় না। তার জন্য সময় দরকার। এসসি ইস্টবেঙ্গল নতুন দল। ফুটবলার থেকে কোচিং স্টাফ, সকলেই নতুন। তা ছাড়া প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিও আমরা ঠিক মতো নিতে পারিনি। এই কারণেই শুরু দিকে সাফল্য পাচ্ছিলাম না। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। শেষ পাঁচটি ম্যাচে আমরা অপরাজিত রয়েছি। জিতেছি দু’টিতে। ড্র করেছি তিনটি ম্যাচে। আশা করছি, দ্বিতীয় পর্বে আমাদের জয়ের সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে।
দলের নতুন তারকা ব্রাইট এনোবাখারে-কে নিয়েও ভীষণ উচ্ছ্বসিত স্টেইনম্যান। তিনি বলেছেন, ব্রাইট দলের সম্পদ। একজন অসম্ভব ভাল ফুটবলার ও। ব্রাইট আসার পরেই আমাদের দলটা বদলে গিয়েছে। ওর জন্য আমাদের কাজও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আপফ্রন্টে ব্রাইটের অনবদ্য ফুটবলের জন্যই মাঝমাঠে অনেক চাপমুক্ত হয়ে খোলা মনে খেলতে পারছে গোটা দল। ইতিমধ্যেই ও সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছে। এখনও ও অনেকটা বাচ্চা। সবাই ওকে সাপোর্ট করুন। আরও ভাল খেলতে সাহায্য করুন।