দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গতকাল বিজেপির হয়ে ময়দানে নেমেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে শোভন ময়দানে নামলেও গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত রোড শো-এ দলের রাজ্যস্তরের প্রথম সারির কোনও নেতা ছিলেন না। রোড শো-এর শেষে সেলিমপুরে শোভনকে সংবর্ধনা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সংবর্ধনা সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শোভন। আর এবার পাল্টা শোভনকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনটি বড় দুর্নীতিতে শোভনের প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ তুলে অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার ও কুণালের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার দাবিও তুলেছেন শাসক দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। উল্লেখ্য, সোমবারই শোভন-বৈশাখীকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “বিজেপি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে শোভন বৈশাখীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন আর বৈশাখী শোভনকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিজেপির পুরোনো কর্মীদের অবস্থা ভাবুন! তাঁদের এখন নেতার বান্ধবীকে তেল মেরে চলতে হবে!”
এদিন কুণাল ফের বলেন, “বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ শোভন চট্টোপাধ্যায়। আইকোর, নারদা, সারদা- সব চিটফান্ডের সঙ্গেই যুক্ত শোভন। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? আর প্রয়োজনে আমার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতেই হবে। উনি তৃণমূল কেন ছেড়েছেন বলছেন, বৈশাখীর জীবনী বলছেন, কিন্তু কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন, তা বলছেন না।” এদিন আইকোরের এজেন্টদের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শোভনের যোগ দেওয়ার একটি ছবিও দেখান কুণাল। জেলের মধ্যে কী ভাবে আইকোর মালিক অনুকূল মাইতি মারা গেলেন, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন কুণাল।
তাঁর অভিযোগ, “আইকোরের হয়ে জনমানসে ভালো বার্তা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদায় হাত পেতে কে টাকা নিয়েছিলেন? সারদায় ১ কোটি টাকা কে পেয়েছেন, জবাব দিন শোভন দা! নিজেদের বাঁচাতেই বিজেপিতে গিয়েছেন মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীরা। এরাই দিদিকে ভুল বুঝিয়ে গিয়েছেন। আসল ঘটনা জানতে দেনননি কখনও। আর এখন মানসিক আঘাত করছেন।”