হাতের ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। যার আক্ষরিক অর্থ বিসমিল্লা। দেখা মাত্রই উপড়ে নেওয়া হয়েছিল হাতটাই। গত বছর এমন অভিযোগে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। বছর ঘুরেছে, এখনও বিচার পাননি যোগী রাজ্যের বাসিন্দা আখলখ। সেই রাতে এক শিশু নির্যাতনের অভিযোগে এবার তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাড়ি থেকে আখলখকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের যৌথ বাহিনী। আটক করা হয় তাঁর ভাই ইকরাম, ইশওয়াকদেরও। ইকরামের শ্যালক নাদিমের বিরুদ্ধে ১৫১ নং ধারায় শান্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কী করেছিলেন আখলখ? লকডাউনে কাজ নেই তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক। অভিযোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মার খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ মারের চোটে দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থাতেই জল চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্রস্থ অত্যাচারের পালা। প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। আখলাখকে তুমুল অত্যাচার করে ওই দুই যুবক।
তাদের চোখে পড়ে আখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। এই সংখ্যাটি ‘বিসমিল্লা’ শব্দেরই প্রতিরূপ। দেখেই ওই দুই যুবক সিদ্ধান্ত নেয় তার হাত কেটে দেওয়ার। আখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধারে। পরদিন জ্ঞান ফিরতে আখলাখ পথচারীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন। কিন্তু কেন এত বড় বর্বরতা! অভিযুক্তর বক্তব্য, তার ভাইপোকে নিগ্রহ করেছিল আখলাখ। হাতেনাতে তাকে ধরেন তিনি।