মহানগরবাসীর জন্য বিরাট সুখবর। অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে দমদম বিমান বন্দরে এসে নামল প্রায় সাত লক্ষ ভ্যাকসিন। বিমানবন্দর থেকেই ভ্যাকসিনের একাংশ ইনসুলেটেড ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর্সে। সেখান থেকেই রাজ্যের কোনায়-কোনায় সেই ভ্যাকসিন মোট ৯৪১টি কোল্ড চেন পয়েন্টে পৌঁছে যাবে।
ভ্যাকসিনের অপর একটি অংশ বিমানবন্দর থেকে এদিন দুপুরেই সোজা চলে যাবে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় সরকারের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল স্টোর্স ডিপোয়। কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কলকাতা থেকেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার পথে যাতে কোনও যানজট সৃষ্টি না হওয়ায় সে ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছে স্বাস্থ্য দফতর। বিমানবন্দর থেকে পুলিশের পাইলট কার ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকাকরণ। বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পৌঁছবে টিকা। ইতিমধ্যেই সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের দাম ধার্য হয়েছে ২০০ টাকা। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম।