সম্প্রতি গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তারপর নানান কথায় তিনি তুলোধোনা করেছেন বিজেপিকে। এবার বর্ধমানে একটি প্রতিবাদ সভায় ফের বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তিনি। কেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এলেন তা খোলসা করলেন সুজাতা। এদিন তাঁর স্বামী সাংসদ সৌমিত্র খাঁর কেন্দ্র বিষ্ণুপুরের খণ্ডঘোষ এলাকায় তিনি ফের তোপ দাগলেন বিজেপির দিকে। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানা সংলগ্ন হাটতলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির প্রতিবাদে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও দেবু টুডু, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা প্রমুখ সভায় উপস্থিত থেকে তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
“আমার পরিবার বরাবরের তৃণমূল সমর্থক। আমিও তাই ছিলাম। আমার স্বামীও তৃণমূল করতেন। কিন্তু তিনি যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন আমিও স্ত্রীর কর্তব্য পালন করলাম। দেহের প্রতিটি রক্ত বিন্দু দিয়ে পরিশ্রম করেও দেখলাম ওই দলে এসসি (শিডিউল কাস্ট) মহিলাদের কোনও সম্মান নেই।” জানিয়েছেন সুজাতা। সুজাতা এও বলেছেন, ‘বিজেপি আসলে সতীলক্ষ্মীদের ঘর ভাঙে আর অসতী নারীদের পুজো করে।’ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় যখন সৌমিত্র তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলেছিলেন তখন বিজেপির কোনও নেতা তার প্রতিবাদ করেনি, এমনই দাবি করেছেন সুজাতা। ‘কোনও বিজেপি নেতা কে বলতে শুনলাম না রাজনীতি আর সংসার আলাদা বিষয়। রাজনীতিটা ঘরের বাইরে। সংসারটা ঘরের ভেতরে।’ এমন নানান কথায় গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন এই নেত্রী।
উল্লেখ্য, এ দিনের তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রতিবাদ সভায় গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের দিকে তাকিয়ে সুজাতা বলেন, “সারদা নারদা ইডির ভয়ে দলত্যাগ করা নেতাদের বান্ধবী, যারা অন্যের ঘর ভাঙার খেলায় থাকে তাদের নেত্রী করা হবে। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। সেখানে বাকি মহিলাদের সম্মান নেই। তার নাম আমার মুখে আনতে ঘেন্না করে। যখন তাকে কলকাতার পর্যবেক্ষক করা হল তখনই বুঝে গেলাম এই দলটা অসতী নারীদের পূজারী। একটা ভোটও বিজেপিকে দেবেন না। কারণ তাতে আপনারও ঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।”