অতিমারী সঙ্কটে ব্যয় বেড়েছে সরকারের। এবার টিকার খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কেন্দ্র। সেই অর্থই সেস বসিয়ে তুলে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। সেস বা সারচার্জ বসিয়েই রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্তরে বৈঠকও হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের আগে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও সেস বসানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র একা নিতে পারে না। জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে সেবিষয়ে।
বাজেটের আগে কেন্দ্রের কাছে শিল্পমহলের আবেদন, অর্থনীতি সঙ্কটে, এই পরিস্থিতিতে নতুন কর না বসানোই ভাল। তাঁদের বক্তব্য, এটা সঠিক সময় নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস একটি প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, রোজগার যাঁদের বেশি, তাঁদের ওপর কিছু পরোক্ষ কর এবং সেস বসানো নিয়ে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা হয়েছে। এছাড়াও পেট্রল বা ডিজেলের ওপর কর বসানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিকে সূত্রের দাবি, পরিবহন, সংরক্ষণ সহ গোটা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য ৬০–৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
অতিমারী পর্বে ঝাড়খন্ড খনিজের উপর কোভিড শুল্ক চালু করেছে। পাঞ্জাবে মদের উপর অতিরিক্ত কর চাপানো হয়েছে। দিল্লী সরকার ৭০ শতাংশ শুল্ক চাপায় মদের উপর। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারত এলএলপি গ্রান্ট থর্নটন ট্যাক্সের জাতীয় নেতা বিকাশ ভসল বলেন, ‘এতে সাধারণ মানুষের উপর বেশি প্রভাব পড়েছে। বিশেষত যাঁরা ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বা এককভাবে কর দিয়ে থাকেন। বহু মানুষ এখনও বেতন হ্রাস বা চাকরি চলে যাওয়ার ফলে আর্থিকভাবে সমস্যায় আছেন। তাই বুঝেশুনে কর চাপানো উচিত।’