এখনও শেষ হয়নি তাদের হিউম্যান ট্রায়াল। পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়নি কোনও বিজ্ঞান-জার্নালে। কিন্তু তাও দুটি কোভিড ভ্যাকসিনকেই বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চূড়ান্ত ফলাফল আসেনি, এমন কোনও সংস্থার প্রতিষেধক কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে, এবার তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, সোমবারের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্নও তুলেছেন, কেন এ ভাবে কেবল মাত্র দু’টি প্রতিষেধককেই বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র?
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দেশ জুড়ে গণটিকাকরণ শুরু করতে চলেছে মোদী সরকার। সে জন্য দু’টি প্রতিষেধককে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। একটি অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে যা তৈরি করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। অন্যটি হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। মানবদেহে এখন তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালু রয়েছে কোভ্যাক্সিনের। বিদেশে শেষ হলেও এ দেশে এখনও তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালু রয়েছে কোভিশিল্ডেরও।
কিন্তু তা সত্ত্বেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে ওই দুই প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই গতকালের বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, কোনও প্রতিষেধক নিরাপদ ও কার্যকর— এই ছাড়পত্র বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের পরেই দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে মমতা জানতে চান, ‘প্রতিষেধক নেওয়ার পরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কি না?’ প্রশ্ন করেন, ‘যে কোনও প্রতিষেধক প্রয়োগের আগে নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষা ও ত্রুটিহীন গবেষণা প্রয়োজন। বেছে নেওয়া প্রতিষেধকগুলির ক্ষেত্রে তা আছে তো?’ সরকার কেন শুধু দু’টি প্রতিষেধকই কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা।