নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি যেন পুরুলিয়ায়। দিন দুই আগেই নিজের ‘ডেরা’ নন্দীগ্রামে প্রবল বিক্ষোভ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, শেষে ইটবৃষ্টির মধ্যে ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছিল বিজেপির যোগদান সভা। তড়িঘড়ি কয়েক মিনিটের বক্তব্য পেশ করে সভার ইতি টেনে দিতে হয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এবার একই চিত্র পুরুলিয়াতে। এদিন পুরুলিয়াতে কাশীপুর ন’পাড়া রোড শো শুরু করে কাশীপুর মোড় এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু। আর শুভেন্দু বক্তব্য শুরুর আগেই চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সভায়। শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হইহট্টগোল।
সেদিনের যোগদান মেলায় বেশ কিছু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। জমায়েতে খবর ছড়িয়ে পড়ে, খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল এবং তাঁর ভাই অসীম মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আসছেন। এরপরেই শুরু হয় উত্তেজনা। নন্দীগ্রাম বাজারের মূল রাস্তার দিকে জমায়েত হওয়া বিজেপি কর্মীরা যোগদান করানোর জন্য তৈরি আলাদা মঞ্চের সামনে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, ‘ওই দুজনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। ফলে এদের নেওয়া চলবে না। যদি দলে ঢোকে, এমন ঝামেলা করব পুলিশ দিয়েও আটকানো যাবে না।’ দলের উত্তেজিত একটা অংশ প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করার পর ঢিলও ছুড়তে শুরু করেন।
গত শুক্রবারও নন্দীগ্রামে কয়েক হাজার লোককে যোগদান করানোর আগাম ঘোষণা করলেও দলের কর্মীদের মধ্যেই অশান্তির আশঙ্কায় হুড়োহুড়ি করে সেই কর্মসূচি বাতিল বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেদিনের যোগদান মেলায় বেশ কিছু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। জমায়েতে খবর ছড়িয়ে পড়ে, খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল এবং তাঁর ভাই অসীম মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আসছেন। এরপরেই শুরু হয় উত্তেজনা। তারপর আজও সেই একই ঘটনাই ঘটল।