গত নভেম্বরের শেষ থেকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লী সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে দেশের অন্নদাতারা। কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই আইনে মোদী-ঘনিষ্ঠ আদানি, আম্বানিদের কর্পোরেট সংস্থাগুলি উপকৃত হবে। যদিও কৃষকদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখেও কৃষি আইন বাতিলে নারাজ কেন্দ্র। নিষ্ফল হয়েছে অষ্টম দফার বৈঠকও। এই পরিস্থিতিতে কৃষি বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বাঁধল কারনালে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সভার আগেই সভাস্থল ও মঞ্চে ভাঙচুর চালালেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করলেও সব বাধা পেরিয়ে সভাস্থলে পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ানোয় সভা বাতিল করে দেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের সুফল সম্পর্কে বোঝানোর উদ্দেশ্যে কারনালের কাছে কেমলা গ্রামের কৃষকদের নিয়ে একটি পঞ্চায়েত সভা ডেকেছিলেন খট্টর। রবিবার সেখানে তাঁর আসার আগেই সেই পঞ্চায়েত ভণ্ডুল করতে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন কৃষি আইনবিরোধী কৃষকরা। তাঁদের মোকাবিলা করতে হরিয়ানা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়, চালানো হয় জলকামান। তবে তা দিয়ে থামিয়ে রাখা যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। তাঁরা পুলিশের বাধা পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল, সেখানে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন কৃষকরা। মোবাইলে রেকর্ড করা ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মঞ্চে ভাঙচুর চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতে গণ্ডগোলের আঁচ করে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গ্রামটিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। তবুও বিক্ষোভরত কৃষকদের গ্রামে ঢোকা রুখতে পারেনি হরিয়ানা পুলিশ।