এবার ইডির নেকনজরে পড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও অর্থ তছরূপের মামলায় তাঁকে আগামীকাল হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। রেড্ডি ছাড়াও সাংসদ বিজয় সাই রেড্ডি, হেটেরো ড্রাগস-এর কর্ণধার শ্রীনিবাস রেড্ডি, অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর নিত্যানন্দ রেড্ডি, ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ডিরেক্টর চন্দ্র রেড্ডি এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বিপি আচার্যকেও ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জগন রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৪-২০০৯-র মধ্যে তাঁর বাবা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি ক্ষমতায় থাকার সময় মূল্য নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে অরবিন্দ ও হেটেরো ফার্মাকে সাত লক্ষ প্রতি একর হিসেবে ৭৫ একর জমিদানে সায় দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, মেদক জেলায় অরবিন্দ ফার্মাকে দেওয়া অন্ধ্রপ্রদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশনের ৩০ একর জমিও বেআইনি ভাবে ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে।
এই ডিলের মাধ্যমে অরবিন্দ ফার্মার কর্ণধার নিত্যানন্দ রেড্ডির ভগ্নীপতি ও ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি শরৎ চন্দ্র রেড্ডি বেআইনি ভাবে ৪.৩৩ কোটি টাকা লাভ করেন। পরিবর্তে রেড্ডি জগনমোহন রেড্ডির সংস্থা ‘জগথী পাবলিকেশন’ ও ‘জননী ইনফ্রা’তে নিত্যানন্দ রেড্ডি ১০ কোটি ও শ্রীনিবাস রেড্ডি ১৭.২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০১৬ সালে নামপল্লি মেট্রোপলিটান সেশন বিচারকের এজলাসে এই মামলার চার্জশিট পেশ করে ইডি। তারপর থেকেই ইডির বিচারাধীন এই বিষয়টি।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস হাই কমান্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে জগনমোহন রেড্ডির। ফলস্বরূপ, কংগ্রেস ত্যাগ করে নিজের আলাদা দল তৈরি করেন তিনি। ২০১৯-র অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন জগনমোহন। এবার ইডির মত শক্ত গাঁটকে তিনি কীভাবে ড্রিবল করেন, সেটাই দেখার।