কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের জয়ের শংসাপত্র পেতে চলেছেন জো বাইডেন। কিন্তু তার আগেই উত্তাল হয়ে উঠল ওয়াশিংটন ডিসি। বুধবার আমেরিকার কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালালেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলেন।
ভিতরে চলছে ভরা সভা। ভারতের সংসদ ভবনের মতোই চুল চেরা বিতর্কে মগ্ন আইনসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। রয়েছেন সাংবাদিকরাও। ঘটনাচক্রে এই আলোচনার শেষেই ইলেক্টরাল কলেজের ভোটের হিসেবে সরকারি ভাবে জো বাইডেন নির্বাচিত হবেন। ট্রাম্পের রিপাবলিকান সেনেটররা এখনও কার্যত পরাজয় মেনে নিতে নারাজ। আলোচনা, বিতর্ক, প্রশ্নোত্তর-এর মধ্যেই চলছে কটাক্ষ, টিকা-টিপ্পনি। তার মধ্যেই বাইরে হই হট্টগোল। কয়েক হাজার জনতার চিৎকার। তাঁদের গতিমুখ ক্যাপিটল ভবন। ক্যাপিটলের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই গণ্ডগোলের খবর তখন পৌঁছে গিয়েছে ভিতরেও।
সেনেটররাও বাইরের দিকে উঁকিঝুঁকি মারছেন বাইরে ঠিক কী হয়েছে, বোঝার জন্য। আমেরিকার ইতিহাসে এমন ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। ফলে তাঁরাও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কী হয়েছে। তখনও ততটা ‘সিরিয়াসলি’ নেননি সেনেটররা। কিন্তু বিষয়টা যে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘হামলা’ সেটা স্পষ্ট হয় যখন একের পর এক দরজা সজোরে বন্ধ করে দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পর পর ভেঙে পড়ছে দরজা-জানালার কাচ। ট্রাম্পের রিপাবলিকান সেনেটরদের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ— ‘‘ডাকুন আপনার নেতাকে! ওঁর জন্যই তো এ সব হচ্ছে”।
মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।