রাজ্যপালের দায়িত্বে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে জগদীপ ধনকরের সঙ্ঘাত চরমে। গত কয়েক মাসে বিবাদ আরও চরমে উঠেছে। এই আবহেই বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক কী কারণে আচমকা রাজভবনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
আজ বিকেল ঠিক পাঁচটা পঁচিশ নাগাদ আচমকাই রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাসেম্বলি গেট দিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কোন বিষয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক প্রধানের আলোচনা হয়, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। সন্ধ্যে ছ’টা সতেরো নাগাদ অ্যাসেম্বলি গেটের বিপরীত রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা রাজভবন সফরকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করছে নবান্ন। তবে রাজভবন সূত্রে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। প্রায় প্রতিদিনই টুইট করে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। নবান্ন-রাজভবনের মধ্যে টুইট-পালটা টুইট কিংবা চিঠি আদানপ্রদানও লেগেই রয়েছে। রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এমনকি এদিনও পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে মুখ্যমন্ত্রী ‘ব্যর্থ’ বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবন সফর নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছে।