রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বকে খুশি রাখতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আইনি বৈধতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার এ সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়ে এ কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি শরদ আনন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন নিয়ে এদিন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারকেও নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি শরদ আনন্দ বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি রামসুব্রহ্মণ্যম ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনের সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজি হন। জনস্বার্থ মামলার অন্যতম আবেদনকারী তথা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুম্বইয়ের সিটিজেন্স ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের আইনজীবী উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের চালু করা দুই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। যদিও সেই আর্জিতে সাড়া দেননি শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।
‘লাভ জিহাদ’ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রথমে আইন প্রণয়ন করে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার। আর তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও একই আইন চালু করা হয়। যদিও লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে এমন আইন সংবিধান প্রদত্ত মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীরষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর। তাঁর কথায়, ‘ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন শুধু সংবিধান বিরোধীই নয়, মানবতা বিরোধীও।’ একাধিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীও এমন আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।