দেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই অভিযোগ নতুন নয়। বারবারই এর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এবার বিজেপি নেতাদের একাংশের চাপের মুখে কয়লা দুর্নীতের তদন্তে সিবিআই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ উঠল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিবিআই পাঁচ বছর আগে বন্ধ হওয়া কয়লা দুর্নীতির একটি মামলার তদন্ত নতুন করে চালু করেছে। এ বিষয়ে তিন আমলার (যাঁদের মধ্যে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ বিজেপি নেতাদের একাংশের চাপেই এই পদক্ষেপ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে ২০১৬ সালে বিশেষ সিবিআই আদালত মামলাটি খারিজ করেছিল। কিন্তু প্রাক্তন কয়লা সচিব এইচ সি গুপ্ত এবং কয়লা মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব কে এস ক্রোফার পাশাপাশি কর্মরত আইএএস আধিকারিক কে সি সামারিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জশিট পেশের প্রক্রিয়া চলছে বলে সিবিআই-এর ওই সূত্র জানাচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে ছত্তীসগঢ়ের ফতেপুর কোল ব্লকের বরাত প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তার সহযোগী একটি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং বিজেপি নেতা হংসরাজ আহির ও ভূপেন্দ্র যাদবের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে সিবিআই প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সহ-অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে সিবিআই আদালতকে জানায়, এ বিষয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি। এরপর সিবিআই-এর ক্লোজার নোটিসের ভিত্তিতেই আদালত মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
তবে অভিযোগকারী পক্ষ ক্লোজার রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবেদন জানালে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সিবিআই নতুন করে তদন্তে সম্মতি দেয়। কিন্তু পরবর্তী ২০ মাসে তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। সিবিআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর প্রবীণ সিংহ এবং দুই যুগ্ম ডিরেক্টরকে এ বিষয়ে দিল্লির বিশেষ আদালতে জবাবদিহিও করতে হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিশেষ আদালতকে দ্রুত চার্জশিট পেশের কথা জানিয়েছিল সিবিআই। আগামী মার্চে তিন আমলাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থার তরফে ইঙ্গিত মিলেছে।