এই নিয়ে গত তিনদিনে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল সেখানে। বিজেপি-জেজেপি জোট শাসিত হরিয়ানায় ফের ঘটল ‘অনার কিলিং’-র মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সেখানে ২৩ বছরের এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্যালকের বিরুদ্ধে। নীরজ নামের ওই যুবকের ‘অপরাধ’ অন্য জাতের মেয়েকে বিয়ে করা। হরিয়ানার পানিপথ এলাকায় একেবারে ব্যস্ত এক বাজার এলাকায় কুপিয়ে মেরে ফেলা হয় তাঁকে। খুন করার পরে অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১২ বার কোপ মারা হয়েছে নিহত যুবককে। উল্লেখ্য, দেড় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল নীরজের। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল হুমকি। এমনকী, খুনের আগেই অভিযুক্ত নিজের বোনকে ফোনে শাসায়, ‘‘শিগগিরি তোকে কাঁদতে হবে’’ বলে। নীরজের দাদা জগদীশ জানিয়েছেন, নীরজকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে সে একা ছিল না। তার সঙ্গে আরও অনেকে ছিল।
এদিন হরিয়ানার পুলিশ প্রশাসনের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জগদীশ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়ে আর্জি জানালেও আমাদের আবেদনে কেউ কর্ণপাত করেনি।’’ এখানেই শেষ নয়, জগদীশের দাবি, অভিযুক্ত নাকি ফোন করে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলেছে, আরও অনেকের মৃত্যু হবে! মর্গের বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে যখন একথা বলছেন জগদীশ, তখন দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাবা।
পুলিশ অবশ্য জানাচ্ছে, এই বিয়েতে মেয়ের পরিবারেরও সম্মতি ছিল। কিন্তু বেঁকে বসেছিল কনের দাদারা। ডিএসপি সতীশকুমার বৎস জানাচ্ছেন, ‘‘দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েটা হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈঠকে লিখিত সম্মতিও দেওয়া হয়েছিল উভয় তরফে। কিন্তু মেয়ের দাদারা তা মানতে পারেনি। তারা লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছিল।’’ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।