আগেই কেরালার পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে পদ্মের। রাজস্থানের পুর নির্বাচনেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে ৫০টির মধ্যে ৩৬টি পুরসভায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও একই দশা হয়েছে। আর কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের জোরদার বিক্ষোভের মধ্যেই হরিয়ানায় হওয়া পুর নির্বাচনে তো রীতিমতো বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে শাসক বিজেপি-জেজেপি জোট। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজ্যপালের কাছে দরবার করলেন সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। পাঞ্জাব বিজেপির সভাপতি অশ্বিনী শর্মা রাজ্যপালের কাছে আবেদন রেখেছেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন ভোট স্থগিত রাখা হয়। গত বুধবার পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ভিপি সিংহ বদনোরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বিজেপি দাবি করেছে, কংগ্রেসের উস্কানিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোট স্থগিত রাখা হয়।
সূত্রের খবর, কৃষক আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই চাপে পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন যে বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে নিত্য চলছে ঘেরাও। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের গনক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী হাসপাতালে। বস্তুত বিজেপি নেতাদের সামাজিক বয়কটের কথাও ভাবছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা। অমৃতসরে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা শহরের প্রত্যেক বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছে। পাঞ্জাব বিজেপির নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ, বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য শোয়াইত মালিকের বাড়ি ও তাঁর শপিং মলের সামনে কৃষকরা ব্যারিকেড লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বাদ পড়েনি ছোট নেতাদের বাড়িও। এই পরিস্থিতিতে পুর ভোট হলে বিজেপির ফল কী হবে তা অনুমান করেই আগেভাগে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দরবার করে রাখলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা, খোঁচা কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহয়ের কটাক্ষ, মোদী-শাহ ঘোষণা করুন কৃষি বিল ফেরত নিচ্ছি, কথা দিলাম কৃষকরা দিল্লী সীমানা থেকে আবার মাঠে ফিরে আসবেন। তাহলেই একমাত্র বিজেপি নেতাদের ভয় কাটবে।