বিক্ষোভের পরিণতিও শাহিন বাগের মতো হবে ভেবে থাকলে মোদী সরকার ভুল করবে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ৩৭ দিনের মাথায় এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক নেতারা। এই প্রসঙ্গে কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাদুনি বলেন, ‘যদি মোদী সরকার কৃষকদের প্রতিবাদকে আরও একটা শাহিনবাগ করতে চায়, সরকার যদি ভেবে থাকে, শাহিনবাগের মতোই সড়ক খালি করে দেওয়া হবে, তা হলে সরকার পরিস্থিতির ভুল পর্যালোচনা করছে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে গুরনাম সিং চাদুনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কৃষকরা ‘অ্যাকশন’-এর জন্য তৈরি। আগামী সোমবার মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকের কী পরিণতি হয়, তা দেখে কৃষকরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানায় আটকে থাকা কৃষকরা দিল্লীর দিকে রওনা হবেন। বৈঠক ব্যর্থ হলে অন্যান্য প্রতিবাদ কর্মসূচিও আগেভাগে ঘোষণা করে দিয়েছেন কৃষক নেতারা।
সোমবার মোদী সরকারের সঙ্গে কৃষক নেতাদের ফের বৈঠক। শেষ বৈঠকে মোদী সরকার কৃষক নেতাদের চারটি প্রধান দাবির মধ্যে দু’টি দাবি মেনে নিয়ে জানিয়েছিল, দিল্লীর দূষণ রুখতে খড় পোড়ানোর শাস্তি থেকে কৃষকদের বাইরে রাখা হবে। বিদ্যুৎ আইনে সংশোধনীতে কৃষকদের বিদ্যুতে ভর্তুকি ব্যবস্থা বজায় থাকবে। কিন্তু তিন কৃষি আইনের প্রত্যাহার ও ফসলের ন্যূনতম দাম বা এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি নিয়ে সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। গুরনাম বলেন, ‘সরকার এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি দিতে নারাজ। এমএসপি-র নিশ্চয়তা না থাকায় বছরে ৩ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। গত ১৫ বছরে চাষিদের ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এমএসপি-র নিশ্চয়তা থাকলে ৩ লক্ষ কৃষককে আত্মহত্যা করতে হত না।’
কৃষক নেতারা তাই সরকার ৫০ শতাংশ দাবিই মেনে নিয়েছে বলে মানতে নারাজ। তাঁদের যুক্তি, মাত্র ৫ শতাংশ দাবি মানা হয়েছে। যে দুই দাবি মানা হয়েছে, তা নিয়েও সরকারি ঘোষণার দাবি তুলেছেন কৃষক নেতারা। কৃষক নেতা মনজিৎ সিংহ রাই বলেন, ‘সবে তো হাতির লেজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনও হাতিটাই বাকি।’