কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে নভেম্বরের শেষ থেকে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন করছেন ৪০টি কৃষক সংগঠন। সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হওয়ার পরেই এই আইনকে কৃষক বিরোধী বলে অভিযোগ করে প্রতিবাদে নেমে পড়েছিলেন কৃষকরা। প্রায় দুমাস স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পর দিল্লী চলোর ডাক দেন পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানার কৃষকরা। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে মোদী সরকার এখনও তাঁদের দাবি না মানলেও এদিন অন্নদাতাদের পাশে দাঁড়িয়ে কেরালা বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব রাখেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই প্রস্তাব পাশ করাতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল সেখানে। সকলকে চমকে দিয়েই কেরালা বিধানসভার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক ও রাজাগোপাল বিজয়নের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। যা বিজেপির পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের দরাদরির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে। অন্যদিকে এই আইন কর্পোরেটদের হাতকে শক্ত করবে বলেই জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবের বলা হয়েছে,স কৃষকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ নতুন আইন। এই পরিস্থিতিতে সেখানে সরকার কৃষকদের থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে, তার প্রভাব পড়বেখাদ্য সরবরাহে এবং খাদ্য সুরক্ষায়। যার জেরে মজুরদারি এবং কালোবাজারি বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। বিজয়ন সরকারের এই প্রস্তাব নিয়ে রাজাগোপাল বলেছেন, এদিনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলবেন না। অন্যদিকে ভোটাভুটির সময় তিনি বিরোধিতাও করবেন না। তবে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব তিনি সমর্থন করায় ভোটদানের সময় তিনি বিরত থাকার কথা জানিয়েছিলেন।