মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার সকালেই শান্তিনিকেতনের রূপপুরের বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী পাড়ায় হাজির হলেন বিডিও অফিসের আধিকারিক, উপ-প্রধান ও অন্যান্যরা। শুনলেন সকলের সমস্যার কথা। নথিভুক্ত করে নিলেন প্রকল্প থেকে বঞ্চিতদের নাম।
একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার ঠিক আগে বুধবার শান্তিনিকেতনের বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী গ্রামে হাজির হন তিনি। সেখানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে জানতে চান। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সম্পর্কেও সকলকে বোঝান তিনি। সেই সময় অনেকেই তাঁদের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। কেউ জানিয়েছিলেন শৌচাগারের সমস্যার কথা।
কেউ আবার বলেছিলেন, তাঁরা সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধাই পাচ্ছেন না। সমস্যা শোনামাত্রই দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত পরিষেবা প্রদানের।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী পাড়ায় পৌঁছলেন বোলপুরের বিডিও অফিসের আধিকারিক, রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-সহ আনান্যরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। প্রত্যেকের অভাব-অভিযোগ শোনেন। সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করেন। এবিষয়ে রূপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু বাসিন্দা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা সরাকারি সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই আমরা বিষয়টি দেখতে এসেছি।’ মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যা জানাতেই আধিকারিকদের আনাগোনায় আশার আলো দেখছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।