নববর্ষের আগের রাতে তেমন নড়চড় হল না সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে ১৩.৮। রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও বর্ষবরণের রাতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে বলে পূর্বাভাস জারি করেছেন আবহবিদরা।
আজ বর্ষবরণে হতাশ হবে না শহরবাসী। জমাটি শীতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে তিলোত্তমা। হিমেল হাওয়া এখনই কাঁপিয়ে দিচ্ছে পাহাড় থেকে সমতল। আগামী দু’দিনে শীতের মেজাজ আরও চড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণের জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও ৪৮ ঘণ্টায়। তাপমাত্রাও হুড়হুড়িয়ে নামবে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ২৫ ডিগ্রির আশপাশেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৯ শতাংশ। ভোর হলেই মোটা কুয়াশার যে স্তর পড়ছিল তা এখন অতটা নেই। সকালের দিকে হাল্কা কুয়াশা ঘিরে থাকছে শহরকে। বেলা বাড়লেই ঝলমলিয়ে রোদ উঠছে। তবে কয়েকটি জেলায় হাড়হিম শৈত্যপ্রবাহ চলছে কদিন ধরেই। বিশেষত পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে আরও ৪৮ ঘণ্টা।
সকালের দিকে হাল্কা কুয়াশা থাকলেও বেলা গড়াতে পরিষ্কার আকাশ। নরম রোদে শীতের আমেজ আছে শহরে। রাতের দিকে হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে পারদ পতন হবে আরও কিছুটা। দিঘাতে এখনই ঠান্ডা ১০ ডিগ্রির কাছেই ঘোরাফেরা করছে। পাহাড়ে আরও কম। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে