শুরু হয়েছিল পাঞ্জাব দিয়ে। তার পর একাধিক রাজ্যে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে বিধানসভায়। এ বার সেই পথে হাঁটল কেরালার বাম সরকারও। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়ে গেল তিনটি কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবনা। দিল্লীতে কৃষকদের আন্দোলনকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই দাবি করেছেন, কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দুর্ভিক্ষের দিকে এগোবে কেরালা।
অধিবেশনে প্রস্তাবনা পাশ করাতে কোনও বেগ পেতে হয়নি কেরল সরকারকে। বিরোধী কংগ্রেসও প্রস্তাবনা সমর্থন করেছে। সমর্থন জানিয়েছেন এলডিএফ ও ইউডিএফ বিধায়করা। শুধুমাত্র একাকী বিজেপি বিধায়ক ওলানচেরি রাজাগোপাল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা জানান। তবে, এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন কিনা। ফলে সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবনা। বিজয়ন বলেন, ‘কৃষকদের অভূতপূর্ব বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করছে দেশ।’ তাঁর অভিযোগ, সংসদে পাস হওয়া কৃষি আইনগুলো শুধু ‘কৃষক বিরোধী’ই নয়, এগুলো কর্পোরেটদের জন্য। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভে সামিল হয়ে কমপক্ষে ৩২ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।
প্রস্তাবনা পাশের পর পিনারাই বলেন, ‘এমন একটা প্রক্রিয়া থাকা উচিত, যাতে কেন্দ্র কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে এবং নামমাত্র দামে গরিব, অভাবী মানুষকে দেবে। কিন্তু তার পরিবর্তে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কৃষিপণ্যের ব্যবসা করার ছাড়পত্র দিচ্ছে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে চাইছে না সরকার।’
এর আগে, সংসদে তিনটি কৃষি বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার পরে পরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ করেন। সোনিয়া গান্ধীও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে একই রকম প্রস্তাবনা পাশের নির্দেশ দেন। সেই মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিও পদক্ষেপ করেছে।