কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লী সীমান্তে চলা কৃষক বিক্ষোভ শুধু পাঞ্জাবের কৃষকদের বলে দাবি করে আসা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর কিছুদিন আগেই টের পেয়েছেন যে কৃষক বিক্ষোভের আগুন তাঁর রাজ্যেও ভাল মতোই ছড়িয়েছে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে খোদ খট্টরকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল কনভয়। দেখতে হয়েছিল কালো পতাকা। তবে এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনে বিজেপি ও তার শরিক জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-এর কোনও নেতা, এমনকি খট্টর ও তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা তাদের গ্রামে এলেই ফুলের মালার বদলে জুতোর মালা পরানো হবে বলে ঘোষণা করল হরিয়ানার করনালে কাদরাবাদ গ্রামের বাসিন্দারা। কয়েক জনের স্লোগান নয়, রীতিমতো পঞ্চায়েত ডেকে বিজেপি ও তাদের শরিকদের বয়কট করার ও গ্রামে ঢুকলেই জুতোর মালা পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাদরাবাদবাসী। ‘কৃষক-বিরোধী তিন কেন্দ্রীয় আইন’ পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন, তার সমর্থনেই এই সিদ্ধান্ত।
কাদরাবাদ গ্রামে ঢোকার মুখে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নামে বড় ব্যানার টাঙিয়ে লেখা, ‘বিজেপি এবং জেজেপি নেতাদের কাদরাবাদ গ্রামে ঢোকা কঠোর ভাবে বারণ। কৃষকদের পাশে যাঁরা দাঁড়াবেন, শুধু তাঁরাই আসতে পারেন।’ এই গ্রামের এক কৃষক গুরলাল সিংহের কথায়, ‘আমাদের ধ্বংস করতেই ওই তিন আইন চাপিয়ে দিতে চাইছে ওরা। অন্নদাতাদের কখনও বলা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী, কখনও খলিস্তানি। ২৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের আন্দোলন ভাঙতে বিজেপি ও তাদের সরকার যে রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে, কৃষকদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, তাতে আমরা রীতিমতো ক্রুদ্ধ।’ উপমুখ্যমন্ত্রী চৌতালার নির্বাচনী কেন্দ্রের বেশ কিছু পঞ্চায়েত এই রকম বয়কটের পথ নিয়েছে গত কয়েক দিনে। কাদরাবাদের কুলদীপ জানালেন, অন্য সব গ্রামকেও তাঁরা বিজেপি এবং জেজেপি নেতাদের বয়কট করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে আর কৃষকদের অপমান করার সাহস না পায়।