সেই নভেম্বরের শেষ থেকে দিল্লী সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে ৩৪ দিন। কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্নদাতারা। দাবি একটাই, নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রকে। এরই মাঝে বুধবার বৈঠকে বসবে কৃষক সংগঠনগুলি এবং কেন্দ্র। তবে সেই বৈঠকের আগেই দিল্লীর সিঙ্ঘু সীমানায় আরও বড় স্টেজ তৈরি করে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি সেরে রাখলেন কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে কৃষকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। আর তার ফলে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে বুধবার কৃষকদের সঙ্গে আরও এক দফা আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র। তবে তার আগেই আরও বড়া মাত্রায় আন্দোলনের তোড়জোর শুরু করেছেন কৃষকরা। সেই প্রেক্ষিতেই সিঙ্ঘু সীমান্তে বড় স্টেজ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
সূত্রের খবর, এবার একটি মীমাংসার পথে আসতে চাইছেন কৃষকরা। স্থায়ী সমাধান চাইছে কেন্দ্রও। তাই বুধবার দুপুর ২টোয় ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কৃষকরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাঁদের দাবি একটাই, কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেই কারণেই দফায় দফায় আলোচনার পরও এখনও কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এদিকে, এবারের বৈঠকেও সমস্যার সমাধান না হলে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্না হাজারে। কেন্দ্রকে লেখা এক চিঠিতে হাজারে জানান, কৃষকদের দাবি পূরণ না হলে অনশনে বসবেন তিনি।