কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে নভেম্বরের শেষ থেকে দিল্লী সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে দেশের অন্নদাতারা। বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি, এই আইনে মোদী-ঘনিষ্ঠ আদানি, আম্বানিদের কর্পোরেট সংস্থাগুলি উপকৃত হবে। যদিও কৃষকদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখেও কৃষি আইন বাতিলে নারাজ কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার পাঞ্জাবের কৃষকদের রাগ গিয়ে পড়ল মুকেশ আম্বানির রিলায়্যান্স জিও-র ওপর। বিক্ষোভরত কৃষকরা পাঞ্জাবে অন্তত ১৫০০ মোবাইল টাওয়ারে ভাঙচুর চালাল। সেখানে মোট ৯,০০০ রিলায়্যান্স জিও টাওয়ার রয়েছে। তার মধ্যেই ১,৫০০-এর বেশি টাওয়ার এখন অচল। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবে মোবাইল পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, কৃষকদের একটা অংশের ধারণা, নতুন এই কৃষি আইন আনা হয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থাকে সুবিধা করে দিতেই। রিলায়্যান্সই এই বিলের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। আর এই বদ্ধমূল ধারণার জেরেই বহু কৃষকের ক্ষোভ সরাসরি মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে। অনেক আগেই বিক্ষোভরত কৃষকদের একাংশ জিও বয়কট করার ডাক দিয়েছে। যে ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার গ্রাহক জিও থেকে পোর্ট আউট করে অন্য সংস্থার সঙ্গে যুক্তও হয়েছেন। তবে কৃষকরা জিও বয়কট করে ক্ষান্ত হননি। গত কয়েকদিন ধরে রিলায়্যান্স তথা জিও-র বিভিন্ন সম্পত্তিও ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। কখনও জিও-র স্টোরে ভাঙচুর, কখনও কেবল কেটে দেওয়া এবং সবশেষে টাওয়ারে গিয়ে ভাঙচুর।
এদিকে, পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার এতদিন কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে আসছে। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব পুলিশ কোনও পদক্ষেপও করেনি। তবে, রাজ্যে হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকায় শেষমেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তাঁর সাফ কথা, আন্দোলনের নামে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। যারা রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘আমার সরকার এতদিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন করে এসেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করি। কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি বা বেসরকারি, কোনওরকম সম্পত্তি ধ্বংস করাটা মেনে নেওয়া হবে না।’