‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে ফের বাংলাকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তারই জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে বাংলার স্বাস্থ্যসাথীর তুল্যমূল্য বিচার করে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যবাসীর জন্য কোন প্রকল্প বেশি লাভজনক।
এদিন টুইটে একটি তালিকা পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক। লিখেছেন, ‘কেন্দ্র কিছু মানুষকে আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা দেবে। অথচ বাংলার ১০ কোটি মানুষই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে পাবেন। আপনি এখন বাংলার নিন্দা করতে ব্যস্ত। এখানে একটি চার্ট দিলাম। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন।’
ওই চার্টে দুটি প্রকল্পের তুল্যমূল্য বিচার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আনা হয়েছে ২০১৮ সালে। তার ২ বছর আগেই অর্থাৎ ২০১৬ সালে রাজ্যবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে এসেছে মমতা সরকার।
দুটি প্রকল্পই ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজ দিলেও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের খরচের ৬০ ভাগ দেবে কেন্দ্র। বাকিটা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। অর্থাৎ পাওনা টাকা নিয়ে টানাপোড়েনের অবকাশ থাকছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পুরো টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ রোগীর চিকিৎসা হবে একেবারে বিনামূল্যে।
আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতে পারেন দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সর্বজনীন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ রাজ্যের ১০০ শতাংশ মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসছেন। তাছাড়া এর কার্ড হবে পরিবারের প্রধান মহিলার নামে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি এই প্রকল্প নারী ক্ষমতায়নও করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আয়ুষ্মানে সেরকম কোনও ভাবনা কেন্দ্রের নেই। চলতি বছরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত ফান্ডের অর্ধেক টাকা খরচের অনুমোদন দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যবাসীর জন্য আয়ুষ্মান ভারতের থেকে অনেক বেশি কার্যকারী প্রকল্প যে স্বাস্থ্যসাথী, সেটাই মোদী সরকারকে দেখিয়েছেন ডেরেক।