বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকারের তিনদিনে তিনরকম ঘোষণায় চরম বিভ্রান্তির শিকার আমজনতা। রাতের বেলা কারফিউ জারি থাকবে পুরো কর্ণাটকে, নির্দেশ ছিল এমনটাই। বড়দিন এবং নতুন বছরের আগে এটাই এখন চিন্তার বিষয় সে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে এখনই রাতের বেলা কারফিউ জারি করার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপর বুধবার আচমকাই রাতের বেলা কারফিউ জারির ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার ভোলবদল। বৃহস্পতিবার হঠাৎই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল, রাতের বেলা কারফিউ জারি করার যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা আপাতত বাতিল করা হল। তাতেই বিভ্রান্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস নতুন স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে, যা আগের তুলনায় আরও বেশি মারাত্মক। অন্ধ্রের এক মহিলার শরীরেও এই ভাইরাস রয়েছে বলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নয়া এই ভাইরাসের কথা মাথায় রেখেই গত বুধবার আবারও রাতের বেলা কারফিউর কথা ঘোষণা করে ইয়েদুরাপ্পা সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় জানানো হয়, বুধবার রাত থেকে গোটা রাজ্যে ‘নাইট কারফিউ’ জারি হবে। ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। এরপর একাধিক বিধিনিষেধের কথাও ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এই নির্দেশিকা জারি করার ২৪ ঘণ্টাও কাটতে না কাটতেই ফের ভোলবদল কর্ণাটক সরকার। এখনই রাতের বেলা কোনওরকম কারফিউ জারি হবে না, রাজ্যে এমনটাই ঘোষণা করেন ইয়েদুরাপ্পা। জানান, মন্ত্রীসভার সদস্য, শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই নাইট কারফিউয়ের নির্দেশিকা আপাতত স্থগিত রাখা হল। তবে প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি মানতে হবে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ। সরকারের এমন হঠকারী ঘোষণার পরই কার্যত দোটানা ও সংশয়ে পড়েছে কর্ণাটকবাসী।