কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য এ বার পাল্টা শর্ত চাপালেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের দাবি, নয়া কৃষি আইন বাতিলের বিষয়টি বৈঠকের অ্যাজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয় বলেই কৃষক সংগঠনগুলির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ইউনিয়নগুলির বক্তব্য, ফের বৈঠকে বসার কথা বলে কেন্দ্রের তরফে সর্বশেষ যে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে, তা কৃষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। কৃষকরা আলোচনায় বসতে নারাজ এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। কৃষক নেতারা জানান, কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন অ্যাজেন্ডার অন্তর্ভুক্ত করা হলে, ফের তাঁরা কথা শুরু করতে পারেন।
আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, কৃষি আইন বাতিলের দাবির সঙ্গে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য-র বিষয়টি কেন্দ্র আলাদা করার চেষ্টা করছে। তা করা যাবে না। কৃষক নেতারা জানান, এমএসপির আইনি গ্যারান্টির উপর তাঁরা প্রথম থেকেই জোর দিচ্ছেন। কেন্দ্রকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়ালের লেখা একটি চিঠি কৃষক নেতারা হাতে পেয়েছেন। তাতে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে নির্দিষ্ট শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এমএসপি সম্পর্কিত নতুন কোনও দাবি বৈাঠকে উত্থাপন করা যাবে না। এগুলি নয়া তিনটি কৃষি আইনের পরিধির বাইরে বলেই কেন্দ্রের মত।
মোর্চার বরিষ্ঠ এক নেতা শিব কুমার কক্কা সংবাদিকদের সামনে অনুযোগের সুরে বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার কৃষকদের দাবিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। অথচ, রোজ রোজ চিঠি দিচ্ছে। এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি করছে, যেন কৃষকরাই আলোচনায় আগ্রহী নন।’ তিনি বলেন, এমএসপির আইনি গ্যারান্টি কৃষকদের দাবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকার এটা এড়িয়ে যেতে পারে না।