সিএএ-এনআরসি নিয়ে গোটা দেশের মত গত বছরের শেষে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাও। এক বছর আগে ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে গুয়াহাটি। বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় অসংখ্য মানুষ। সেইসময় বিক্ষোভকারীদের হটাতে গুলি চালায় পুলিশ। যাতে স্যাম স্ট্যাফোর্ড নামে এক নাবালক-সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল।
এরই মধ্যে বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম সদস্য শান্তনু ঠাকুর সিএএ লাগুর দাবিতে বিদ্রোহের সুর চড়াতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা প্রতারিত হয়ে ভারতে আসবেন তাঁদের হিন্দুত্বের পরিচয়পত্র দেবে মতুয়া সংঘ। মতুয়া সংঘ যে পরিচয়পত্র দেবে সেটাই সব থেকে বড় হিন্দুত্বের পরিচয়পত্র হবে। এই পরিচয় থাকলে মতুয়া সংঘ নিশ্চিত সেই ব্যক্তি হিন্দু। আর সেই বক্তব্য নিয়েই মহা বিপদে পড়েছে বিজেপি।
একদিকে যখন সিএএ নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে সংশয়, সেখানে বিজেপির নজরে রয়েছে মতুয়া ভোট। বাংলায় মতুয়ারা বহু সীমান্তবর্তী এলাকার আসনে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’। সেখানে সিএএ নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ক্রমাগত বেসুরো হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, গতবছরের ডিসেম্বর থেকে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন চলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি। প্রতিবাদ স্তিমিত হয় কোভিডের জেরে শারীরিক দূরত্ব, লকডাউন ইত্যাদি কারণে।
এই বিভ্রান্তিমূলক পরিস্থিতিতে বিজেপির মূল লক্ষ্য হল ভোট বৈতরণী পার করা। এই লক্ষ্যে একদিকে যখন বিজয়বর্গীয়দের মতো নেতারা স্থানীয় স্তরে সিএএর পক্ষে কথা বলবেন, সেখানে অমিত শাহ, নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে টালবাহানা করবেন করোনা অজুহাতে। এভাবেই দুই পক্ষের মন যুগিয়েই ভোটে জেতার কৌশল ফাঁদছে বিজেপি।