রাত পোহালেই বড়দিন। তবে এবারের উত্সব মরশুম যেন একেবারে আলাদা। করোনার উত্পাতে জবুথবু অবস্থা। ডিসেম্বরের প্রায় শেষ লগ্নে শীত পড়লেও বড়দিনের আগে পারদ উর্ধ্বমুখী। তবে প্রতিবারের মতো এবারও শহরে ক্রিসমাস-এর আনন্দে ভাঁটা নেই। কেকের গন্ধ ও সান্টাক্লজের আগমনীর অপেক্ষায় মশগুল শহরবাসী। সেইসঙ্গে প্রশাসনও প্রতিবারের মতো নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক। এবার অবশ্য পার্ক স্ট্রিট চত্ত্বরে ভিড় কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সারা শহর যে বড়দিনে আনন্দে মাতবে, তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না প্রশাসন।
পার্ক স্ট্রিট থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত রাস্তা ভাগ করা হবে। ময়দান ও পার্ক স্ট্রিটের দিকে কোনওরকম পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। পার্ক স্ট্রিট চত্ত্বরে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। সেখান থেকে চলবে নজরাদারি। এছাড়া পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও আজ ও কাল বিশেষ নিয়ম চালু করবে পুলিস। শুধুমাত্র ভিড় নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর রাখছে কলকাতা পুলিস। বড়দিনে কোনওরকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখবে পুলিস।
গত কয়েকদিন ধরেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকিং চলছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোয় চালকদের ধরপাকড় চলেছে। আবার হেলমেটহীন বাইক আরোহীদেরও জরিমানা দিতে হয়েছে। উত্সবের আনন্দে নিরাপত্তার দিকও নজর রাখতে হবে, তাই কড়াকড়ি। আজ থেকেই তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করবে কলকাতা পুলিস। পাঁচ হাজার পুলিসকর্মী ক্রিসমাস উপলক্ষে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। জানা গিয়েছে, আজ রাত নটা থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চলবে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন জায়গায় যানজট সামলাতেও পরিকল্পনা করেছে পুলিস।