আইপিএস ইস্যুতে আগেই মমতাকে সমর্থন করেছিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী তথা মোদী-শাহদের বিরাগভাজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটরা। কৃষক আন্দোলনের সমর্থন এবং কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে পেলেন শরদ পাওয়ারকেও। রবিবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো। শুধু তাই নয়, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আসবেন বলেও মমতাকে আশ্বস্ত করেছেন পাওয়ার।
প্রসঙ্গত, একুশের আগে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক, দুই দিক থেকেই এরাজ্যের শাসক শিবিরকে খাদের কিনারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক শিবির। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ভাঙানো থেকে আইপিএস প্রশ্নে বাংলার সরকারকে ক্রমাগত বিব্রত করা নিয়ে একে একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন বিজেপি বিরোধী নেতারা। রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে শুক্রবারই মমতার সমর্থনে টুইট করেছিলেন কেজরি। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্র যে ভাবে রাজ্যের অধিকারের পরোয়া না করে বাংলার পুলিশ অফিসারদের বদলি করছে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত।
এরপর যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘একুশের ভোটের আগে বাংলায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাচ্ছে বিজেপি।’ একে একে পাশে দাঁড়ান, বাঘেল, গেহলট, এম কে স্ট্যালিনরাও। আর এবার শরদ পাওয়ারের ফোন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এ রাজ্যে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে মমতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পওয়ার। একই সঙ্গে বর্তমানে সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলনে মমতা যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন এবং কলকাতায় সভা করেছেন, তারও প্রশংসা করেন পওয়ার। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও মমতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই বর্ষীয়ান নেতা।