‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’র মতনই গরু পাচার চক্র নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তাতে বিএসএফ-কর্তাদের দুর্নীতির যোগসূত্রের প্রমাণ পেয়েছিল সিবিআই। এবার গরু পাচার কাণ্ডে ৪ বিএসএফ কর্তাকে তলব করল সিবিআই। এক ডিআইজি, ২ অ্যাসিট্যান্ট কমাড্যান্ট-সহ ৪ জনকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগেই গরুপাচার মামলায় বিএসএফ কমাড্যান্ট সতীশকুমারকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁকে জেরা করে এ রাজ্যের সীমান্তে গরুপাচার সিন্ডিকেটে আরও কয়েকজন বিএসএফ অফিসারের সরাসরি যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসএফ-এর তরফে বেশ কিছু নথিপত্রও তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। তার পরেই সোমবার এই তলব।
ওই ৪ জনকে জেরা করে গরুপাচার-কাণ্ডে আরও তথ্য পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সিন্ডিকেট সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি ভাবে বাংলাদেশ গরু পাচার করত। সিবিআই আগে এনামুলকে গ্রেফতার করলেও, তিনি জামিন ছাড়া পেয়ে যান। ফের তাঁকে জেরা করতে চেয়ে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এর পর তাকে নিজেদের কব্জায় পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসানসোলের সিবিআই আদালতে এনামুল আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।