সদ্যসমাপ্ত ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি মোকাবিলায় প্রায় সমানে সমানে লড়েছে টিম ইন্ডিয়া ও অজিরা। এবার দোরগোড়ায় বহুপ্রতীক্ষিত টেস্ট দ্বৈরথ। আসন্ন বর্ভার-গাভাস্কার সিরিজ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনা তুঙ্গে। অ্যাডিলেডে সিরিজের উদ্বোধনী দিন-রাতের টেস্ট শুরু হতে চলেছে ১৭ই ডিসেম্বর। আর এমতাবস্থায় মিচেল স্টার্ক জানিয়ে দিলেন, তিনি অ্যাডিলেড টেস্টে খেলবেন। ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাঝ পথে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি পেসার। এ বার টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে নিজের মাঠে নামা নিয়ে সবুজ সংকেত দিলেন তিনি। তাতেই কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অজি ভক্তকুল।
পরিবারের এক সদস্যের অসুস্থতার জন্যই স্টার্কের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া হালকা চোট সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর শরীরে। তিনি দলে ফেরায় গোলাপী বলের টেস্টের আগে স্বাভাবিকভাবে বোলিং ইউনিট আরও ধারালো হল অজিদের। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় শিবিরেও।
এদিকে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য রীতিমতো প্রহর গুনছেন আরেক অজি পেসার জশ হ্যাজলউড। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে হ্যাজলউড তিন বার ফিরিয়েছেন কোহলিকে। “সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলির বিরুদ্ধে ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছিলাম। এ বার টেস্টেও ভাগ্যের সাহায্য পেতে চাই। নতুন করে আবার শুরু করতে হচ্ছে টেস্টে। গোলাপী বলে অন্যরকম খেলা হবে। গতবার আমাদের বিরুদ্ধে লাল বলে রান পেয়েছিল কোহালি। ওর বিরুদ্ধে শুরুটা ভাল করা দরকার। আর ওকে তো শুধু অ্যাডিলেড টেস্টেই সামনে পাচ্ছি।” এই সুরে হালকা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রথম টেস্টের পর পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসছেন ভারত অধিনায়ক। বাকি ম্যাচগুলোয় টিমকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্ক রাহানে।
গত অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। তিনটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৫২১ রান করে ভারতের সিরিজ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। ম্যান অফ দ্য সিরিজের মুকুটও ওঠে তাঁরই মাথায়। গত সফরে কী ভাবে তফাত গড়ে দিয়েছিলেন পূজারা, সে বিষয়েও জানিয়েছেন হ্যাজলউড। “পূজারা প্রচুর বল খেলেছিল। আর লম্বা সিরিজে সেটাই লক্ষ্য থাকে ব্যাটসম্যানদের। রান করা, টেস্ট জেতা আর নিজেদের বোলিংকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দেওয়া। যাতে পরের দিকে এর সুফল মেলে। আর গত বার ভারত এটাই করেছিল। আমাদের বোলারদের অনেকটা সময় মাঠে কাটাতে হয়েছিল মেলবোর্নে। বিশ্রামের জন্য খুব অল্প সময় পেয়েছিলাম। সিডনিতেও তাই হয়েছিল। ৪ বা ৫ টেস্টের সিরিজে ব্যাটসম্যানদের তাই রান করার পাশাপাশি শুরুতে অনেকটা সময় ক্রিজে থাকতে হয়। যাতে বিপক্ষ বোলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়ে।” এমনটাই জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের এই পেসার।