‘লাভ জেহাদ’ রুখতে কড়া আইনের পর মধ্যপ্রদেশে গোরু রক্ষায় মন্ত্রক! গোরু এবং গোশালা সংরক্ষণে উৎসাহ দিতে ‘কাউ ক্যাবিনেট’ বা ‘গো-মন্ত্রক’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আর এবার কর্নাটক বিধানসভায় পাশ করা হল গো-রক্ষা ও গো-নিধন সংক্রান্ত বিশেষ বিল। আর তার আগে রীতিমতো সাড়ম্বরে আয়োজন করা হল গোমাতার পুজো।
কর্নাটকের পশুসুরক্ষা মন্ত্রী প্রভু চৌহান বলেন, ‘আমাদের উপর রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ ও বরিষ্ঠ নেতাদের আশীর্বাদ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও আমাদের দলীয় নেতাদের ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। এই প্রথম এখানে গো-পুজোর আয়োজন করা হল। গোরু আমাদের মা। আর পশু সুরক্ষার জন্য এই বিল আনা হয়েছে।’ বিজেপির তরফেও টুইটে লেখা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে থাকা সরকার আরেকটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করল।’
অন্যদিকে, ২০১৭ সালে প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচ করে দেশের প্রথম গো-অভয়ারণ্য ‘কামধেনু’ গড়ে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশের আগর মালোয়ায়। সেই আগর মালোয়াতেই সে রাজ্যের গো-মন্ত্রকের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই পরিষদের কী কী দায়িত্ব, কাজের পদ্ধতিই বা কী, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন এই সিদ্ধান্ত শিবরাজ সরকারের? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত আগস্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সরকারি গোশালার ১ লক্ষ ৮০ হাজার গোরুর জন্য বার্ষিক ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। অর্থাৎ, দৈনিক হিসেবে তা দাঁড়ায় ১.৬ টাকা, যা আগের বছরই ছিল ২০ টাকা। গত আর্থিক বছরে পশুপালন বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১৩২ কোটি টাকা। তার মানে, রাতারাতি ৯০ শতাংশ খরচ কমিয়ে দেওয়া হয় বাজেটে। সরকারের তরফে সকলের কাছে অনুদানও চাওয়া হয় ঘাটতি মেটাতে। কিন্তু তাতেও তেমন সাড়া মেলেনি। সব মিলিয়ে শিবরাজ সরকারের এই পদক্ষেপ বেশ সমালোচিত হয়। সেই সমালোচনার জবাব দিতেই সম্ভবত গো-মন্ত্রকের ঘোষণা শিবরাজ সরকারের।