কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে গত ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। দিল্লী-হরিয়ানা সীমান্তে কয়েক হাজার কৃষক অবস্থান করছেন। বুধবার সকালে তাঁদের একজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর নাম অজয় মোরে। বয়স ৩২। বাড়ি ছিল হরিয়ানার সোনেপতে। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে তিনি সিংঘু অঞ্চলে ছিলেন ১০ দিন। সম্ভবত হাইপোথার্মিয়া রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অজয়ের বাড়িতে আছেন তাঁর বয়স্ক বাবা-মা ও স্ত্রী। এছাড়া আছে তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়ে। কৃষক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
গত শনিবারই কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক হয়েছে দীর্ঘ সাত ঘণ্টার। কিন্তু আন্দোলনের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি সেখানে। কৃষক পক্ষের তরফে অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। সেপ্টেম্বর মাসে পাস হওয়া তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা কোনও রকম ভাবেই আপস করবেন না। কর্পোরেটদের প্রবেশ তাঁরা মেনে নেবেন না কোনও কিছুর বিনিময়ে।
কৃষকবিক্ষোভ আপাতত শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে পালিত হয়েছে ভারত বন্ধ। এদিনই সন্ধেবেলা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষকরা। কিন্তু তারপরেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কারণ দু’তরফই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, তাঁরা কৃষি আইনে কিছু সংশোধনী আনতে পারেন। কিন্তু কৃষকরা চান আইনের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। তাই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। তার উপর বুধবার কৃষক ও সরকারের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যেই ওই কৃষকের মৃত্যু বিক্ষোভের আঁচকে যে আরও বাড়িয়ে দিল তা বলাই বাহুল্য।