কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা দেশ। বিতর্কিত ৩ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লী সীমান্তে ব্যাপক আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে এবার মোদী সরকারের আরেক নতুন আইনের শিকার হতে চলেছেন বেসরকারি কর্মীরা। নতুন বছরে কমতে পারে তাঁদের হাতে পাওয়া বেতন বা টেক হোম স্যালারি। এমনই আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কী এমন আইন এনেছে মোদী সরকার? চলতি বছর সংসদে নয়া বেতন পরিকাঠামো আইন বা ‘কোড অন ওয়েজেস’ পাস করিয়েছে মোদী সরকার।
নতুন আর্থিক বছর অর্থাৎ ১ এপ্রিল, ২০২১ সাল থেকে কার্যকর হতে চলা এই নয়া আইনে বলা হয়েছে, মোট বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি হবে না কোনও ভাতা বা অ্যালাওয়েন্স। যার অর্থ, মোট বেতনের ৫০ শতাংশ হতে হবে বেসিক পে বা মূল বেতন। পাল্লা দিয়ে বাড়বে পিএফ বা গ্র্যাচুইটি খাতে জমা করা অর্থের পরিমাণ। উল্লেখ্য, ভারতের বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থায় মোট বেতনের অধিকাংশটাই কর্মীদের নানা অ্যালাওয়েন্স বা ভাতা খাতে দেওয়া হয়। অনেকটাই কম থাকে বেসিক স্যালারি। সুতরাং সেই অনুপাতে জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। কিন্তু এবার এই রীতি বদলাতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, মহামারীর সময় কর্মীদের বেতন বাড়ানোর পথে হাঁটবে না অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থাই। তাই বেতন কাঠামোকে খোলনলচে বদলানোর দিকেই নজর দেবে তারা। বর্তমান মোট বেতনের অঙ্ক অপরিবর্তিত রেখে নতুন নিয়ম কার্যকর করবে। আর তাতে কোপ পড়বে টেক হোম স্যালারির অঙ্কে। কারণ, মূল বেতন বাড়ালেই পিএফ ও গ্র্যাচুইটি খাতে বাড়বে জমার পরিমাণ। সেটা কাটা হবে কর্মীর টেক হোম স্যালারি থেকেই। বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সংস্থাগুলি কস্ট টু কোম্পানির দিকে বেশি ঝুঁকবে।