দেশের সংস্কারের পথে বাধা দেশের ‘খুব বেশি’ গণতন্ত্রই। এই মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের প্রধান অমিতাভ কান্ত। কৃষি ক্ষেত্র সংস্কারে তিনটি কৃষি আইন চালু করে চাপে পড়েছে মোদী সরকার। ওই তিন আইনের বিরুদ্ধে ভারত বন্ধ অনেক জায়গাতেই ছিল স্বতঃস্ফুর্ত। আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে অ-বিজেপি দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে কান্তের এই মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি করেছে।
এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের প্রধান কান্ত আজ সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে চিন সরকারের অবাধ ক্ষমতার তুলনা টানেন। তাঁর কথায়, ‘ভারতে অত্যাধিক গণতন্ত্রই কঠিন সংস্কারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর দেশে সংস্কার না হলে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সংস্কার আনতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার নামতে গেলে আরও অনেক সংস্কারের দরকার রয়েছে এ দেশে।’
নীতি আয়োগ প্রধানের মতে, দেশের ১০-১২টি রাজ্যের উন্নয়নের হার ভাল। তাহলে ভারতের উন্নয়ন কেন পিছিয়ে থাকবে? কৃষি আইন নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘এটা বুঝতে হবে এমএসপি বা কৃষিমাণ্ডি উঠে যাচ্ছে না। কিন্তু বাজার দর দেখে কৃষকরা নিজের ইচ্ছে মতো ফসল বিক্রির স্বাধীনতা পাবেন। এতে দেশের ও চাষিদেরও উন্নতি হবে। দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে দাবি করেন তিনি।’
স্বাভাবিকভাবেই নীতি আয়োগের প্রধানের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেতের মন্তব্য, ‘খুব বেশি গণতন্ত্র বলে কিছু হয় না। যে কোনও মূল্যে ও সর্বশক্তি দিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে আমাদের।’ বিজেপির প্রাক্তন শরিক শিবসেনার তরফে প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর আবার দাবি, ‘খুব বেশি গণতন্ত্র কখনওই খুব খারাপ নয়।’ শিবসেনার মতে নীতি প্রণয়নে যত বেশি সংশ্লিষ্ট পক্ষ যুক্ত হয়, ততই ভাল। তাতে সকলের জন্য উন্নয়নশীল নীতি তৈরি করা সম্ভব হয়।