সোমবার বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে প্রাণ গিয়েছে গাজলডোবার উলেন রায়ের। এবার সেই মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘মিছিলে লোক নেই, ছররা দিয়ে তুমি নিজের লোককে মেরে ফেলছ ভাই, শুধু একটু পাবলিসিটি পাবে বলে!’ জানালেন, পুলিশ ওইরকম বন্দুক ব্যবহার করে না।
মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষকে তুলে দিয়েছেন তিনি। কয়লা খনির ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নানা প্রকল্পের উপভোক্তাদের সুবিধা দেওয়া হয়। সেই সভাতেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘একটা লোককে ছররা গুলি দিয়ে মেরে দিলে?’
ইসিএল, রেল, বিএসএনএল-এর মতো সংস্থা বেসরকারিকরণ হতে পারে বলে নানা মহলে জল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে এ দিন সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ বন্ধ করে দিতে চাইছেন? আমি বাঁচিয়েছিলাম এই সংস্থাকে। বেশি করে বরাত দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র সেই চিত্তরঞ্জনকে বেচে দিতে চাইছে। রেল, সেল, ইসিএল, বিএসএনএল বেসরকারিকরণ করে দিতে চাইছে।’ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বলেন, ‘যতদিন বেঁচে থাকব, বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’
বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় দেখবেন বাইরের অনেক গুন্ডারা আসবে। টাকা নিয়ে আসবে। আপনাদের টাকা দেবে। কিন্তু ৫০০০ টাকা দিয়ে কি সংসার চলবে? সারাবছর চলবে? ওরা কিন্তু ভোট হয়ে গেলে পালিয়ে যাবে। আপনাদের বোকা বানিয়ে চলে যাবে দিল্লীতে। আমি মনে করি, টাকা দিয়ে বাংলার মানুষকে কেনা যায় না।’
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চাই রাজ্যের ১০ কোটি মানুষই স্বাস্থ্যসাথী পান। আপনারা ক্যাম্পে গিয়ে নাম লেখান। কউ যদি মনে করেন কোনও সুবিধা পাননি, তা হলে ক্যাম্পে যান। নাম লেখান, সব সরকারি সুবিধা পাবেন।’