‘শিবঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে’। মোদীর ভারতের ক্ষেত্রেও এখন এই একই কথাই খাটে। কারণ এখানে ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি’দের জন্য এক আইন, এবং বিরোধী নেতা-নেত্রীদের জন্য আলাদা আইন। হ্যাঁ, সেই ২০১৮ সালে ইডিকে জেরায় পিটার মুখার্জি জানিয়েছিলেন, আইএনএক্স মিডিয়ার মালিক ছিলেন আদতে মুকেশ আম্বানি, তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা। যিনি এই চ্যানেলের প্রাক্তন কর্তা এবং আইএনএক্স মিডিয়া ঘুষকাণ্ডে এখনও জেলে। শুধু তিনি নন, এই আইএনএক্স ঘুষকাণ্ডে জেলে গেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তি। পিটার মুখার্জি, তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীর বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল চিদম্বরম এবং কার্তিকে। অথচ পিটারের বয়ান পেয়েও একবারের জন্যও জেরা করা হয়নি মুকেশ আম্বানি, তাঁর পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের।এর আগে অগস্টা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডেও মুকেশ আম্বানির নাম জড়িয়েছিল। কিন্তু তখনও তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়নি।
পিটার এ-ও জানিয়েছিলেন, রিলায়েন্স সংস্থা এই বিষয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা চালাত। সংস্থার হয়ে কথা বলতেন একজিকিউটিভ এল ভি মার্চেন্ট, মনোজ মোদী, আনন্দ জৈন। এত কিছুর পরেও আম্বানিদের ডাকা হয়নি। রিলায়েন্স সংস্থা এই নিয়ে মুখ খোলেনি। এই মামলায় তদন্ত করছিলেন ইডি অফিসার সন্দীপ ঠাপলিয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এই তদন্ত থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। আর এই নিয়ে কথা বলা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর এই ঠাপলিয়ালকেই লিখিত বয়ান দেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি। তাতে লেখেন, আইএনএক্স মিডিয়ার মালিক ছিলেন মুকেশ আম্বানি। এ বছর জুনে আদালতে চার্জশিট ফাইল করেছে ইডি। সেখানে ইন্দ্রাণী এবং পিটারের এই দাবির উল্লেখ রয়েছে কিনা জানা যায়নি।