জ্বালানির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। বর্তমানে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম গত দু’বছরের মধ্যে রেকর্ড স্পর্শ করেছে। মুম্বইয়ের বাজারে ইতিমধ্যে ৯০ টাকা পার করে গিয়েছে প্রতি লিটার পেট্রোল। তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শুধু বিরোধীরা নয় খোদ বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তেলের দামে ভারত সরকার দেশের মানুষকে প্রভূত শোষণ করছে বলে সরাসরি তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি সাংসদ।
বিভিন্ন ইস্যুতে অকপট মন্তব্যের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপির অভ্যন্তরেই মাঝেমধ্যে ‘বিবেক’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায় তাঁকে। এবার পেট্রোল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি সাধারণ মানুষকে শোষণ করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সোমবার রাতে একটি ট্যুইট করেন স্বামী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘৯০ টাকা দরে প্রতি লিটার পেট্রোল আসলে ভারত সরকার দ্বারা ভারতের জনগণকে প্রভূত শোষণ। শোধনাগারে যাওয়ার আগে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম পড়ে ৩০ টাকা। বাকি ৬০ টাকা হল সমস্ত ধরনের কর এবং পেট্রোল পাম্প কমিশন। আমার মতে, প্রতি লিটার পেট্রল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া দরকার।’
এদিকে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ে মঙ্গলবার সামান্য স্বস্তির খবর মধ্যবিত্তের জন্য। টানা সাত দিন পরে অবশেষে মূল্যবৃদ্ধির এই রেখাচিত্রে বিরামচিহ্ন পড়ল। মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখল তেল কোম্পানিগুলি। এদিন কোনও মেট্রো শহরে এই দুই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেনি তারা। যদিও বর্তমানে গত দু-বছরের মধ্যে রেকর্ড স্তরে পৌঁছে গিয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। গত সোমবার পর্যন্ত শেষ ১৮ দিনের মধ্যে সব মিলিয়ে ১৫ বার তেলের দাম বেড়েছে। এ ক’দিনে রাজধানী দিল্লীতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম বেড়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। আর ডিজেলের ক্ষেত্রে এই ক’দিনে লিটারে দাম বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে শেষবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল।